ইসবগুলের ভুসি কি? ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম। ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।

Hasan Ebna Amin

Psyllium husk - ইসবগুলের ভুসি

ইসবগুলের ভুসি হল Plantago ovata নামক এক ধরণের গুল্মের বীজের খোসা। এই বীজগুলি ভারত, পাকিস্তান এবং ইরানের মতো দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।  ইসবগুলের ভুসি প্রথম ইউরোপে ১৭ শতকে পরিচিতি লাভ করে এবং তখন থেকেই এটি বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় স্বাস্থ্য খাদ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

ইসবগুলের ভুসি দুটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত: গ্লুকোম্যানান এবং আরাবিনোক্সিলান। এই উপাদানগুলি  পানিতে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে যার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুসি প্রায় ৭০% এরও বেশি দ্রবণীয় ফাইবার ধারণ করে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

দুটি প্রধান ধরণের ইসবগুলের ভুসি রয়েছে:

  • সাদা ইসবগুলের ভুসি: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ইসবগুলের ভুসি এবং এটি ইসবগুলের বীজের শেল থেকে তৈরি।
  • কালা ইসবগুলের ভুসি: এটি সাদা ইসবগুলের ভুসির তুলনায় বেশি দ্রবণীয় এবং এটি ইসবগুলের বীজ থেকে তৈরি।

ইসুবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ০ শতাংশ ফ্যাট, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন।

আধুনিক জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার বা গ্লুোকাজের মাত্রা বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। ইসবগুলের ভুসি এই সমস্ত সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আধুনিক খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা

  • আঁশের অভাব: আধুনিক খাদ্যতালিকায় সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকে না। ফল, শাকসবজি এবং বাদামের মতো আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহন: প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণত চিনি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলির অতিরিক্ত খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
কষা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের বা Constipation এর ঘরোয়া চিকিৎসা | Home Management of constipation

ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা

ইসবগুলের ভুসি তার দ্রবণীয় আঁশের উচ্চ পরিমাণের জন্য পরিচিত, যা এটিকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য একটি কার্যকর প্রাকৃতিক সমাধান করে তোলে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নীচে বর্ণনা করা হল:

  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ: ইসবগুলের ভুসি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে যা মলকে নরম করে এবং পরিমাণ বাড়ায়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
  • হজম উন্নত: দ্রবণীয় আঁশ হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে, যা হজমশক্তির উন্নতি করে।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: ইসবগুলের ভুসি LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
  • ওজন কমানো: ইসবগুলের ভুসি পেট ভরা অনুভূতি তৈরি করে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: উল্লেখ করা হয়েছে যে ইসবগুলের ভুসি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, ইসবগুলের ভুসি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ: ইসবগুলের ভুসির অ্যাসিড-নিরপেক্ষকারী বৈশিষ্ট্য অ্যাসিডিটি এবং হার্টবার্ন উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
  • অর্শ্বরোগের উপশম: ইসবগুলের ভুসি মলকে নরম করে এবং পরিমাণ বাড়িয়ে অর্শ্বরোগের উপসর্গগুলি হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
  • প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে: প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে অনেকের। তাদের ক্ষেত্রে উপকারী একটি খাবার হলো—ইসুবগুলের ভুসি। এটি নিয়মিত খেলে কমবে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে আখের গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এটি সকাল-বিকেলে খেতে পারেন।এই উপকারিতাগুলি ছাড়াও, ইসবগুলের ভুসি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসবগুলের ভুসি সকলের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। আপনি যদি গর্ভবতী হন, স্তন্যদান করান বা কোনও ঔষধ সেবন করেন তবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দিনে দুইবার ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। ১-২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। যেকোনো দুইবেলা খাবার খাওয়ার পর ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। মনে রাখা জরুরি, ইসবগুলের ভুসি খেলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে। ইসবগুলের ভুসি খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে গলনালি এবং অন্ত্রের মুখ আটকে যায়, অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রে খাবারের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া আপনি এটিকে পানিতে মিশিয়ে, স্মুদি বা দইতে যোগ করে বা বেকিংয়ে ব্যবহার করে খেতে পারেন।

ইসবগুলের ভুসি তার বহুমুখিতা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বর্তমানে একটি জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান। এটি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

খাবারে মিশিয়ে:

  • আপনি ইসবগুলের ভুসি দই, স্মুদি, স্যুপ, সস এবং ড্রেসিংয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • এটি ব্রেড, মাফিন এবং কুকিজের মতো বেকড পণ্যগুলিতে একটি আঁশযুক্ত বিকল্প হিসাবে যোগ করা যেতে পারে।
  • আপনি ভাত বা ডালের সাথে রান্না করার সময় ইসবগুলের ভুসি যোগ করতে পারেন।

পানিতে মিশিয়ে:

  • একটি গ্লাস পানিতে ১ – ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে পান করুন।
  • এটি সকালে খালি পেটে বা দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না, কারণ এটি ইসবগুলের ভুসিকে জেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
  • পানিতে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে অনেক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন না। হালকা নেড়ে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলবেন। আমরা অনেকেই এই ভুলটি করি।

বেকিংয়ে:

  • ইসবগুলের ভুসি ব্রেড, মাফিন এবং কুকিজের মতো বেকড পণ্যগুলিতে যেখানে গ্লুটেন আছে তা প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • এটি প্যাকেজড বেকিং মিক্সে যোগ করা যেতে পারে।
  • এটি বেকড পণ্যগুলিতে আর্দ্রতা এবং নমনীয়তা যোগ করতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নের জন্য:

  • ইসবগুলের ভুসি মুখের মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
  • এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা অপসারণ করতে সাহায্য করে।
  • এটি ত্বককে কোমল করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ইসবগুলের ভুসি ব্যবহার করার সময় কিছু টিপস:

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে যখন আপনি প্রথম ইসবগুলের ভুসি খাওয়া শুরু করেন।
  • আপনি যদি কোনও ঔষধ সেবন করেন তবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • আপনার যদি কোন পেটের সমস্যা থাকে তবে ইসবগুলের ভুসি এড়িয়ে চলুন।
  • ধীরে ধীরে আপনার ডায়েটে ইসবগুলের ভুসি যোগ করুন এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।

ইসবগুলের ভুসির মাত্রা নির্ভর করে আপনার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং আপনি এটি কিসের জন্য ব্যবহার করছেন তার উপর।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ ডোজ:

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য: প্রতিদিন ৫ – ১০ গ্রাম, দিনে দুই বা তিনবার ভাগ করে খান।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য: প্রতিদিন ১০ – ২০ গ্রাম, দিনে দুই বা তিনবার ভাগ করে খান।
  • রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য: প্রতিদিন ১৫ – ৩০ গ্রাম, দিনে দুই বা তিনবার ভাগ করে খান।
  • ওজন কমানোর জন্য: প্রতিদিন ৫ – ১০ গ্রাম, দিনে দুই বা তিনবার ভাগ করে খেতে পারেন।
মনে রাখবেন যে এগুলি শুধুমাত্র সাধারণ নির্দেশিকা। আপনার জন্য সঠিক ডোজ নির্ধারণের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ইসবগুলের ভুসি সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়, তবে কিছু লোকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে –

  • পেট ফুলে ওঠা: ইসবগুলের ভুসি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে জেলের মত তৈরি করে, যাতে পেটে ফুলে যেতে পারে।
  • গ্যাস বা পেট ফেপে উঠতে পারে: ইসবগুলের ভুসি হজমের সময় ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙ্গে যায়, যা গ্যাস তৈরি করতে পারে ও পেট ফেপে উঠতে পারে।
  • ডায়রিয়া: অতিরিক্ত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু মানুষের ইসবগুলের ভুসিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যার মধ্যে ফোলা ভাব, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট এবং মুখে ফোলা ভাব হতে পারে।
  • গলায় আটকে যাওয়া: শুষ্ক ইসবগুলের ভুসি গলায় আটকে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করেন।
  • পেটে ব্যথা: কিছু মানুষ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
আপনি যদি ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া একটানা ৩ দিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এমন ৭টি বিশেষ সময়ের কথা নিচে তুলে ধরা হলো—

  • ঘুমানোর ঠিক আগে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে ঘুমের সময় বৃহদান্ত্রের (শরীরের যে অংশে মল তৈরি হয়) মুখ ভুসি জমে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘অবস্ট্রাকশন’ বলা হয়। ‘অবস্ট্রাকশন’ একটি ইমারজেন্সি স্বাস্থ্য জটিলতা, এমনটা হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হয়। আপনার আগে কখনও এমনটা হয়ে থাকলে ইসবগুলের ভুসি খাবেন না।
  • কোনো কারণে পেটেব্যথা, বমিবমি ভাব বা বমি হয়
  • আগে কখনও ইসবগুলের ভুসি খেয়ে শরীরে কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়
  • দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পায়খানা জমে পায়ুপথের মুখে আটকে যায়
  • মলত্যাগের ধরণ বা অভ্যাসে যদি হঠাৎ কোনো লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে এবং তা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়
  • আগে থেকেই পায়ুপথ দিয়ে রক্ত যায়, যার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়
  • বৃহদান্ত্রের মাংসপেশির দুর্বলতা (Colonic Atony) বা ধীরগতি জনিত কোনো রোগ থাকে 

ইসবগুলের ভুসি বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে:

  • মুদি দোকান: অধিকাংশ মুদি দোকানেই ইসবগুলের ভুসি পাওয়া যায়। এটি সাধারণত গুঁড়ো, ক্যাপসুল বা ওয়াফার আকারে পাওয়া যায়।
  • ওষুধের দোকান: ওষুধের দোকানেও ইসবগুলের ভুসি পাওয়া যায়। এটি সাধারণত প্রেসক্রিপশন এবং ওভার-দ্য-কাউন্টার উভয় ফর্মে পাওয়া যায়।
  • অনলাইন: ইসবগুলের ভুসি অনলাইনে বিভিন্ন খুচরা ওয়েবসাইট এবং স্বাস্থ্য খাদ্য স্টোর থেকে কেনা যেতে পারে।
  • গুণমান: একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড থেকে ইসবগুলের ভুসি কিনুন যা মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
  • রূপ বা ধরন: আপনার পছন্দের রূপটি বেছে নিন, যেমন গুঁড়ো, ক্যাপসুল বা ওয়াফার।
  • মূল্য: বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের মূল্য তুলনা করুন।
  • মেয়াদ: মেয়াদ আছে কিনা তা দেখে নিন।
  • ইসবগুলের ভুসি একটি ওজন হ্রাসকারী বড়ি: ইসবগুলের ভুসি ওজন কমানোতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি একটি ওজন হ্রাসকারী বড়ি নয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পরিপূরক হিসাবে ব্যবহার করা উচিত।
  • ইসবগুলের ভুসি সকলের জন্য নিরাপদ: ইসবগুলের ভুসি বেশিরভাগ লোকের জন্য নিরাপদ, তবে কিছু লোকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনি যদি গর্ভবতী হন, স্তন্যদান করান বা কোনও ঔষধ সেবন করেন তবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে না: ইসবগুলের ভুসি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করেন তবে এটি গলায় আটকে যেতে পারে।

ইসবগুলের ভুসি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকার একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ, হজম উন্নত, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি কীভাবে কাজ করে?

উত্তর: ইসবগুলের ভুসি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে। এই জেলটি মলকে নরম করে এবং পরিমাণ বাড়ায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি হজম উন্নত করতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসির কি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

উত্তর: ইসবগুলের ভুসি বেশিরভাগ লোকের জন্য নিরাপদ, তবে কিছু লোকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পেট ফোলা, গ্যাস, ডায়রিয়া এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। আপনি যদি গর্ভবতী হন, স্তন্যদান করান বা কোনও ঔষধ সেবন করেন তবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি কীভাবে খাবেন?

উত্তর: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। আপনি এটিকে পানিতে মিশিয়ে, স্মুদি বা দইতে যোগ করে বা বেকিংয়ে ব্যবহার করে খেতে পারেন। উপরে বিস্তারিত রয়েছে।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি কত খরচ হয়?

উত্তর: ইসবগুলের ভুসির দাম ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, এটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য খাদ্য।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে আমার আরও প্রশ্ন থাকলে কার সাথে যোগাযোগ করব?

উত্তর: আপনার যদি ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার, নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করুন

References

আরো পড়ুন-

Leave a Comment