Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার
মুখে মাস্ক (MASK) পরা বর্তমান নভেল করোনা ভাইরাসের আউটব্রেক কমার জন্য অনতম একটি মাধ্যম। এটি শুধু মানুষকে কভিড-১৯ হতে রক্ষা করবে বা এর বিস্তারে বাধা প্রদান করবে তা নয়, বড়ং এটি মানুষকে মানসিক ভাবে আশ্বস্ত করে।
তবে Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার আসলেই কি আপনাকে জীবাণুর সংক্রামণ, বিশেষ করে কভিড-১৯ সংক্রামণ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে? না, পুরোপুরি পারেনা।
এই বিষয়ে সবিস্তরে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ভাল থাকুন ডট কম – www.valothakun.com – এর আজকের আলোচনা Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার
সার্জিকাল মাস্ক (MASK) কী?
সার্জিকাল মাস্ক (MASK) হ’ল একুট লুজ-ফিটিং, ডিসপোজেবল মাস্ক। এই মাস্ক (MASK) টির দুপাশে স্থিতিস্থাপক ব্যান্ড রয়েছে যা দিয়ে কানের পিছনে লুপ করা যায়, যা মাস্কটিকে সঠিক ভাবে নাক ও মুখের উপর ধরে রাখে। আপনারা খেয়োল করলে দেখবেন এর উপরের কিনার কিছুটা শক্ত। আসলে এর ভিতরে হালকা ধাতব তার থাকে। এর মাধ্যমে মাস্কটি পরার পর নাকের উপর চাপ দিয়ে ভাল ভাবে ফিট করা যায়, ফলে নাকের উচ্চতার জন্য সৃষ্ট মাস্ক ও মুখের চামড়ায় তেমন গ্যাপ আর থাকে না।
সঠিকভাবে Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার জেনে ও পরে থ্রি-প্লাই (৩ স্তরের) সার্জিক্যাল মাস্ক কেবল লার্জ পার্টিক্যাল, মাউক্রোঅর্গানিজম বা জীবাণু যা কাশি, হাচি বা ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায় তাদের সংক্রমণ রোধ করতে পারে। আবারো বলছি যে, এটি সঠিক ভাবে পরলে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে কভিড-১৯ সংক্রামণ রোধ সম্ভবব। সার্জিকাল মাস্ক (MASK) টি সামনাসামনি কথা বলার সময়ও সম্ভাব্য রোগী হতে জিবাণূ ছড়াতে বাধা দেয় এবং রোগীর সাথে কথা বলার সময় আমাদের সংক্রমিত হতে দেয় না।
সার্জিক্যাল মাস্কের থ্রি–প্লাইয়ের স্তরগুলো নিম্নলিখিতভাবে কাজ করে:
ক. Outer (বা বাইরের) স্তরটি পানি, রক্ত এবং দেহের অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থকে সহজে মাস্কের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়না। এটি সাধারনত রঙ্গীন হয়।
খ. Middle (বা মাঝের) স্তরটি হল ফিল্টার স্তর যা নির্দিষ্ট প্যাথোজেন বা জীবাণুগু ফিল্টার করে।
গ. Inner (বা অভ্যন্তরীণ) স্তরটি পরিধানকারীর শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস থেকে আর্দ্রতা, কফ, হাচির সাথে নি:স্মৃত ড্রপলেট এবং ঘাম শোষণ করে, ফলে পরিধানকারী যদি আক্রান্ত হন তবে তার থেকে হাচি-কাশির মাধ্যমে সহজে কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াতে পারবেনা। এটির রং হয় সাদা।
তবে, এই সার্জিকাল মাস্ক-এর প্রান্তগুলো আপনার নাক বা মুখের চারপাশে একটি শক্ত সিল গঠন করতে পারে না। ফলে তারা কাশি বা হাঁচি দিয়ে সংক্রমণিত ছোট ছোট বায়ুবাহিত কণাকে শতভাগ ফিল্টার করতে পারে না।
কভিড সংক্রমণের কারণে পুরো পৃথিবিতে এখন মাস্ক সংকট। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছে মত দাম হাকাচ্ছেন বলে সাধারন মানুষ সহজে তা কিনতে পারছেন না। অনেকে আবার জাল মাস্ক বানাচ্ছেন যা সুরক্ষার বদলে নিজের অজান্তে মানুষকে আরো বিপদে ফেলে দিচ্ছে।
তাই বাড়িতেই আপনারা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক বানাতে পারেন। এটি বানানো খুব সহজ । শুধু খেয়াল রাখবেন মাস্কটি যেন পর্যাপ্ত পরিমানে বড় হয়, যাতে তা মুখ, নাক, থুতনী ভাল ভাবে ঢাকতে পারে। তাহলে এটিও সার্জিকাল মাস্কের কাছাকাছি পরিমাণ সুরক্ষা দিতে পারে। [রেফারেন্স-১]
www.valothakun.com – ভাল থাকুন ডট কম – এর আজকের আর্টিকেল Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার
আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক (MASK) পরবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) –এর গাইডলাইন [রেফারেন্স-২] অনুযায়ী নিচের ক্ষেত্রগুলোতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে-
১. জ্বর, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্যান্য লক্ষণ থাকলে
২. শ্বাষকষ্ট, কাশি, জ্বরের রোগীর সেবা যত্ন যিনি করবেন
৩. হাচি, কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির ৬ ফুটের মাঝে অবস্থান করলে
৪. কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি
৫. কভিড-১৯ এর সাসপেক্টেড রোগী
যেহেতু বাংলাদেশে মারাত্মক আকারে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরু হয়েছে তাই বাইরে বের হলেই আপনাকে মাস্ক (সার্জিকাল অথবা উপরে বর্ণিত ৩ স্তরের কাপরের মাস্ক) অবশ্যই পরতে হবে।
যদিও এই মাস্কগুলো ছোট ছোট বায়ু কণা এবং বায়ুকণা বাহিত জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে পারেনা, তবে বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা গিয়েছে এদের ব্যবহারের ফলে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। বিশেষ করে পাবলিক সেটিংসে (রাস্তা-ঘাটে) এটি বেশি কার্যকর।
কভিড -১৯-এর বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে CDC, USA সাধারণ মানুষকে সার্জিকাল মাস্ক না পেলে কাপড়ের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। সিডিসি আপনারা নিজেরা কীভাবে মাস্ক তৈরি করবেন সে সম্পর্কে একটি টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেছে। টিউটোরিয়ালটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। [রেফারেন্স-৩]
কীভাবে সার্জিকাল বা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক (MASK) মুখে পরবেন:
সার্জিক্যাল বা কাপড়ের মাস্ক সঠিকভাবে পরতে নিম্নলিখিত স্টেপগুলো লক্ষ্য করুন-
১. মাস্ক (MASK) লাগানোর আগে আপনার হাত সাবান দিয়ে কমপক্ষে 20 সেকেন্ড ধরে ধুয়ে ফেলুন, বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে আপনার হাত একসাথে ভাল করে ঘষে পরিস্কার করুন।
২. মাস্ক (MASK) –এ ত্রুটি আছে কিনা দেখে নিন। কানে লাগানোর লুপ বা ফিতাগুলো পরীক্ষা করুন।
৩. মাস্ক (MASK) – এর রঙিন দিকটি বাইরের দিকে এবং সাদা অংশটা ভিতরে রাখতে হবে।
৪. সার্জিক্যাল মাস্ক এ কিছুটা শক্ত একটি ধার রয়েছে তা উপরের দিকে বা নাকের উপরে রাখুন।
৫. যদি মাস্ক (MASK)টি তে –
– কানের লুপ থাকে: কানের পিছনে লুপগুলো দিয়ে মাস্কটিকে ঠিক ভাবে নাক – মুখের উপর বসান।
– ফিতা, যদি থাকে: মাস্কটি ঠিক ভাবে বসিয়ে উপরের স্ট্রিংগুলো আপনার মাথার তালুর উপর বরাবর বেঁধে রাখুন। নীচের স্ট্রিংগুলো আপনার ঘাড়ের বা মাথার পিছনে বাধুন।
– যদি ডুয়েল ইলাস্টিক ব্যান্ড থাকে: মাস্কটি ঠিক ভাবে বসিয়ে উপরের ব্যান্ডটি আপনার মাথার তালুর উপর বরাবর টেনে সেট করে রাখুন। নীচের ব্যান্ডটি আপনার মাথার পিছনে টেনে সেট করে নিন।
৬. সার্জিক্যাল মাস্কের উপরের হালকা শক্ত ধারটি আঙ্গুল টিয়ে চেপে নাক এবং মুখের চামড়ার সাথে এমন ভাবে মিলিয়ে দিন, যাতে কোন ফাক না থাকে।
৭. মাস্কটি থুতনির নীচে পর্যন্ত ভাল ভাবে টেনে দিন।
৮. নিশ্চিত হন যে মাস্ক (MASK)টি খুব সুন্দরভাবে মুখের উপর ফিট হয়েছে।
৯. একবার পরার পর মাস্ক আর স্পর্শ করবেন না।
১০. যদি মাস্ক (MASK)টি ময়লা হয়ে যায় বা স্যাঁতসেঁতে যায় তবে নতুন মাস্ক নিন।
সার্জিক্যাল মাস্ক (বা নির্দেশিত কাপরের মাস্ক) পরার পরে কি কি করা যাবে না:
একবার মাস্ক (MASK)টি সঠিকভাবে পরার পরে, কিছু জিনিস মানতে হবে যেন অন্যের হাচি কাশি বা নিজের হাত থেকে জীবানু নাকে মুখে যেতে না পারে। যেমন-
১. মাস্ক (MASK) টি একবার আপনার মুখে ঠিক ভাবে পরার পর এটি স্পর্শ করবেন না। কারণ মাস্কটির উপর রোগজীবাণু লেগে থাকতে পারে। অথবা হাতের মাধ্যমে মাস্কটিতে নতুন ভাবে রোগজীবাণূ সংক্রমিত হতে পারে।
২. এক কান-এ মাস্ক (MASK) টি পরে ঝুলিয়ে রাখা যাবেনা।
৩. আপনার গলায় মাস্ক (MASK) ঝুলানো যাবেনা।
৪. অনেকে কথা বলার সময় মাস্কটি থুতনির উপর নামিয়ে নেন, যা কখনই করা যাবে না।
৫. অনেকে মাস্ক পরে মুখ ঢাকলেও শ্বাস নিতে অস্বাস্তি লাগে বলে নাক ঢাকেন না, যা মোটেও ঠিক না।
৬. একবার ব্যবহারের পর মাস্ক (MASK) পুনরায় আর ব্যবহার করা যাবে না। তবে কাপড়ের মাস্ক ভাল ভাবে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
আপনি মাস্ক পরার পর যদি মুখের মাস্ক (MASK) টি স্পর্শ করে ফেলেন তবে অবশ্যই ভালভাবে সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিন বা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করুন।
সার্জিক্যাল মাস্ক (বা ৩ স্তরের কাপরের মাস্ক) যেভাবে খুলতে হয়:
আপনার পরিধানকৃত মাস্কটি খোলার সময় সহজেই এটি থেকে জীবাণু আপনার হাতে বা নাকে-মুখে লেগে যেতে পারে এবং আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। তাই মাস্ক খোলার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফেস মাস্ক খোলার সময় নিচের স্টেপগুলো ফলো করন-
১. মাস্ক (MASK)টি খুলে ফেলার আগে আপনার হাত ভালভাবে ধুয়ে নিন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
২. মাস্ক (MASK) টি সরাসরি স্পর্শ করবেন না কারণ এটি দূষিত হতে পারে। কানের কাছে হাত দিয়ে কেবল লুপস, টাই বা ফিতা বা ব্যান্ডের সাহায্যে প্রথমে মাস্কটি ধরুন।
৩. এবার আপনার মুখ থেকে মাস্ক (MASK) টি সাবধানতার সাথে খুলে ফেলুন:
– উভয় কানের লুপগুলো আনহুক করুন
– প্রথমে নীচের ফিতা বা লুপ বা ব্যান্ডটি খুলুন, তারপরে উপরেরটি।
– তারপর সাবধানে নিচের অংশ প্রথমে শুরু করে আস্তে আস্তে মাস্কটি উপর দিকে টেনে খুলে ফেলুন।
৪. মাস্কের লুপ বা ফিতা বা ব্যান্ডগুলো ধরে মাস্ক (MASK) টিকে ঢাকনা ওয়ালা আবর্জনার বাক্সে ফেলে বক্সটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন।
৫. এরপরে আপনার হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলুন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, ২০ সেকেন্ড ধরে।
Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার : একটি N95 মাস্ক
পিপিই (পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) এখন বহুল আলোচিত শব্দ। এর একটি অংশ হল এই N95 মাস্ক। বিভিন্ন ধরনের N95 মাস্ক রয়েছে। শুধুমাত্র মেডিকেল গ্রডে N95 মাস্কই ভাইরাস বা জীবাণু থেকে ভালভাবে সুরক্ষা দিতে পারে। যদিও এটি জনসাধারনের জন্য না তবু এর সম্পর্কে সাধারন কিছু তথ্য দেই।
N95 মাস্ক খুব ভাল ভাবে মুখের সাথে লেগে থাকে বিধায় এটি বায়ুবাহিত বা ড্রপলেট বাহিত রোগজীবাণু প্রতিরোধে বেশি কার্যকর। [রেফারেন্স-৪] সাধারণত স্বাস্থ্যকর্মী, যারা সরাসরি কভিড-১৯ রোগীর দেখাশোনা করেন, তারা এটি ব্যবহার করবেন। N95 মাস্ক –এর ব্যবহার সফল হবে তখনই যখন এটি ঠিক ভাবে পরা হবে।
N95 মাস্ক সফল ভাবে ৯৫% এর উপরে কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি ০.৩ মাইক্রণ পার্টিকেলও ফিলট্রেট করতে পারে ও ভিতরে ঢুকতে দেয় না। [রেফারেন্স-৫]
তবে, সিডিসি এবং WHO কঠোর ভাবে সাধারন মানুষকে N95 মাস্ক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। বিশ্বব্যপী N95 মাস্কের স্বল্পতাই এর প্রধান কারণ। KN95 হল N95 এর বিকল্প। যদিও এর সক্ষমতা N95 মাস্কের চেয়ে কিছুটা কম তবু সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এটিও ৯৩-৯৫% সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
আপনারা পড়ছেন www.valothakun.com – ভাল থাকুন ডট কম – এর আজকের লিখা Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার
USA-FDA এর তথ্য অনুসারে, সংক্রমণ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হ’ল ভাইরাসের সংস্পর্শে যাওয়া এড়ানো। এটি সামাজিক দূরত্ব এবং ঘনঘন হ্যান্ড ওয়াশিং অনুশীলনের মাধ্যমেই সম্ভব। আর জানা Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার।
কভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধ করতে আমাদের করনীয়
আপনার যদি জ্বর, শ্বর্দি, কাশি, শ্বাষকষ্টজনিত অসুস্থতা থাকে তবে সংক্রমণ হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায় হ’ল অন্যদের কাছে যাওয়া এড়ানো। এবং যদি কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ না থাকে, তবে অন্য আক্রান্ত ব্যক্ত হতে আপনার মাঝে ছড়াতে পারে। সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সামজিক দুত্ব মেনে চলা।
আপনার ভাইরাস সংক্রমণ, বা এর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে, WHO নিম্নলিখিত নিয়মগুলো [রেফারেন্স-৬] মানার পরামর্শ দিয়েছে:
১. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া।
২. সাবান ও পানির অ্যাক্সেস না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। স্যানিটাইজারটিতে যাতে কমপক্ষে ৬০% অ্যালকোহল থাকে। [রফোরেন্স-৭]
৩. নাক, মুখ এবং চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
৪. অন্যের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। CDC USA এর তথ্য অনুযায়ী কমপক্ষে ৬ ফুট। [রেফারেন্স-৮]
৫. আপনি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক প্লেস বা জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
৬. বাড়িতে থাকুন এবং বিশ্রাম নিন।
Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার : শেষ কথা
সার্জিক্যাল মাস্কগুলো বড় বায়ুবাহিত কণা থেকে রক্ষা করতে পারে, কিন্তু N95 ছোট কণাবাহিত জীবাণুর বিরুদ্ধে আরও ভাল সুরক্ষা দেয়।
এই মাস্ক (MASK)গুলো সঠিকভাবে লাগানো এবং খোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আপনার এবং আপনার চারপাশের মানুষের মাঝে জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাই Use of Mask বা মাস্ক-এর সঠিক ব্যবহার জানাটা খুব জরুরী এবং কভিড-১৯ মোকাবেলায় জনসচেতার বিকল্প নেই।
——————————————
আরো পড়ুন-
COVID-19 and Stroke : কভিড-১৯ এবং স্ট্রোক
ডা. হাসান ইবনে আমিন