স্মার্ট হওয়ার উপায় – 15 Habits That Make You Smarter

Hasan Ebna Amin

Updated on:

স্মার্ট হবার উপায়

বর্তমান পৃথিবীতে স্মার্ট হওয়ার জন্য বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা, কথা বলা, পোশাক-পরিচ্ছদ সহ সবকিছুতেই সবকিছুতেই নিজেকে স্মার্ট ভাবে উপস্থাপন করতে হয়। যদিও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় জ্যামিতিক মানুষের ব্রেন পাওয়ার ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মূল নিয়ামক, তবুও গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভ্যাস যদি আমরা প্রতিনিয়ত করতে পারি তাহলে আমাদের মানসিক দক্ষতা, মস্তিষ্কের ক্ষমতা, শারীরিক দক্ষতা সহ সব বিষয়েই নিজেদেরকে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলতে পারব।
এই আর্টিকেলে “স্মার্ট হওয়ার উপায়” হিসেবে ১৫টি অভ্যাস উল্লেখ করা হল।

সুচিপত্র

Embrace Lifelong Learning – জীবনব্যাপী শিক্ষাকে গ্রহণ করতে হবে।

জীবনব্যাপী শেখার মানসিকতা থাকতে হবে যা আমাদের বৌদ্ধিক বৃদ্ধি এবং ব্রেইনের COGNITIVE ABILITIES বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ। শুধু প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, সব কিছু থেকেই জ্ঞান অর্জণ এবং বোঝার জন্য স্থির মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। লাইফ লং লার্নিং এর জন্য –

একটি Mindset of Curiosity তৈরী করতে হবে

অর্থাৎ নতুন কোন কিছু জানার জন্য একটি কিউরিসিটি মনের ভিতর সব সময় রাখতে হবে। জীবনের চলার পথে প্রত্যেকটি বিষয় থেকে শিখার যে সুযোগ আছে সেই বিষয়টা মাথায় রাখলে আমরা সবকিছু থেকেই কিছু না কিছু শিখার সুযোগ পাবো যা আমাদেরকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

Diverse Learning Pathways বা বৈচিত্রপূর্ণ শিখার পথ সমূহ অনুসরণ করুন

বৈচিত্রপূর্ণ শেখা পাথ অনুসরণ করতে হবে যেন জীবনব্যাপী জ্ঞান অর্জন করা যায়। একাডেমিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম বই পড়ে, সেমিনারে অংশ নিয়ে, ডকিউমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি বিভন্নি মাধ্যমে শিখার অভ্যাস তৈরী করতে পারলে শিক্ষা যেমন আগ্রহ নিয়ে করা যায় তেমনি লার্ণিং ও অনেক ভাল হয়।স্মার্ট হওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Adaptation in a Changing World – পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে নিজেকে খাপ খায়িয়ে নিতে হবে

পরিবর্তিত পৃথিবীতে অভিযোগ করা বা আমি পারছিনা বলাটা কোনো সমাধান না। বরং নতুন নতুন বিষয়ে জানা, অভ্যস্ত হওয় এবং পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের মাঝে পজেটিভ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। খাপ খাইয়ে না নিতে পারলে স্মার্ট হওয়ার মূল একটি বিষয়ে আপনাকে পিছিয়ে যেতে হবে।

ব্রেইনের COGNITIVE ABILITIES স্টিমুলেট করা

নিয়মিত লার্নিং এক্টিভিটিস গুলোতে অংশ গ্রহণ করা উচিৎ। কোন একটা শিখা একদিন শুরু করে পরবর্তীতে বন্ধ করে দিলে সেই লার্নিংটা সঠিকভাবে হয় না। নিয়মিত জ্ঞান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ব্রেইনের নিউরাল সংযোগ মজবুত করে, ব্রেইনের COGNITIVE ABILITIES ফাংশন উন্নত করে এবং মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

Enrichment of Perspective বা দৃষ্টিকোণকে সমৃদ্ধ করা

জীবনের পথ চলা এবং প্রতিনিয়ত শিক্ষা গ্রহন একজন মানুষকে ভিন্ন দৃষ্টিকোনে চিন্তা করতে শেখায় এবং ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিকে বিবেচণা করতে শেখায়। জীবনব্যাপী শিক্ষার্থীরা পৃথিবীকে বিস্তৃত ভাবে বুঝার দক্ষতা অর্জন করে এবং ক্রমান্বয়ে নিজেরা স্মার্ট হয়ে গড়ে ওঠে।

Prioritize Quality Sleep বা পর্যাপ্ত সাইন্ড স্লিপকে গুরুত্ব দিন

পর্যাপ্ত, কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম,মানুষের মেধা, দক্ষতা, বুদ্ধি বৃদ্ধি, শারিরিক সুস্থ্তা এবং বাহ্যিক দৃড়তা প্রকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। তবে সে ঘুমটা যেন ভাল এবং নিরবিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এই অভ্যাসের কারণে আপনার কাযের দক্ষতা যেমন বাড়বে, চলার পথে কনফিডেন্ট থাকবেন এবং ধীরে ধীরে স্মার্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

Cultivate Curiosity and Questioning – কিউরিসিটি এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা

জানার জন্য এবং নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার জন্য মনের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে কিউরিসিটি তৈরী হতে হবে এবং সেসকল বিষয় গুলো সমাধানারে জন্য প্রশ্ন করার অভাস করতে হবে। কোন কিছু মনে জাগলে সেই বিষয়ে যদি জানার চেষ্টা না করা হয় তাহলে ব্রেইনের কগনিটিভ দক্ষতা গুলো ধীরে ধীরে কমে যাবে যেমন ক্লাসে অথবা সহপাঠীদের আড্ডায় অথবা অফিসে সহকর্মীদের সাথে আড্ডায় যদি কোন বিষয়ে মনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তাহলে তা জানার চেষ্টা করবেন। আপনি সিনিয়র পদে আছেন, অথবা সহপাঠীরা হাসাহাসি করবে, এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে রাখলে আপনার ব্রেনের যে কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট তা হবেনা এবং স্মার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিক দক্ষতা এবং প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তাছাড়া যে কোনো বিষয়ে মনে জিজ্ঞাসা জন্মালে এবং সে বিষয়ে প্রশ্ন করে যদি আপনি সমাধান বের করতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনার ক্রিয়েটিভিটির দক্ষতাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সুতরাং স্মার্ট হওয়ার উপায় জানতে হলে আপনাকে প্রশ্ন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী সমাধান করার চেষ্টা এবং আগ্রহ থাকতে হবে।
মনের মাঝে যদি অহমিকা, অথবা সুপেরিয়র কমপ্লেক্সসিটি, অথবা লজ্জা কাজ করে তাহলে আপনি যেমন জানতে পারবেন না তেমনি অন্যদের থেকে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়বেন। স্মার্ট হতে হলে এবং মানুষের সামনে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে গেলে আপনার জ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি করতে হবে সব বিষয় নিয়ে কিছু কিছু তথ্য জেনে আপনাকে আপডেটেড থাকতে হবে।

Empowerment Through Inquiry অর্থাৎ Questioning সবসময় empowers individuals to seek answers independently

মনে রাখতে হবে, সমালোচনা গ্রহণ করার দক্ষতা এবং শিখার কোন বয়স নেই, এ বিষয়ে দুটি মাথায় রাখলে আপনি সহজেই অনেক বিষয়েই মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারবেন, জানতে পারবেন এবং নিজেকে স্মার্ট হিসেবে পরবর্তিতে অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।

Practice Mindfulness Meditation – মেডিটেশন করা অভ্যাস করুন

প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা মেডিটেশন করা অভ্যাস করুন। স্ট্রেস হ্রাস এবং উন্নত ফোকাস উভয়ই মেডিটেশনের সাথে জড়িত। নিয়মিত মেডিটেশন অভ্যাস আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা উন্নত করে।

Engage in Regular Physical Exercise – নিয়মিত শারিরিক ব্যায়াম

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। এক্সারসাইজ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে করে এবং মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে নিউরনের সুস্থতা যেমন নিশ্চিত করে তেমনি ব্রেইনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত চমৎকারভাবে সহযোগিতা করে। তাই চেষ্টা করুন প্রত্যেকদিন অথবা কমপক্ষে সাপ্তাহে পাঁচ দিন 20 থেকে 25 মিনিট দ্রুত হাটার অথবা জগিং বা হালকা দৌড়ানোর।

Maintain a Balanced Diet – ব্যালেন্স ডায়েট করার চেষ্টা করুন

একটি ব্যালেন্সড খাদ্য অভ্যাস অবলম্বন করুন। পুষ্টি মস্তিষ্কের ও আমাদের শরীরের সুস্থতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিকর এবং রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এমন খাবার, হার্ড ব্রেইন রোগের জন্য উপকারী খাবার, যেমন ওমেগা থ্রি অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন ডায়েট মানি খাবার একদম কমিয়ে দেয়া নয়, ডায়েট মানি শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত পুষ্টিকর খাবার প্রতিদিন খাওয়া।

Challenge Your Brain – আপনার মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন

পাজল, ক্রসওয়ার্ড এবং বিভিন্ন স্টাটেজিক গেম খেলতে পারে। এভাবে আপনার মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য। এতে আমাদের গ্রীন স্টিমুলেশন পায় এবং হঠাৎ কোনো বিপদ আসলে স্মার্টলি ডিসিশন নেওয়ার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

Build Strong Social Connections – সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন

শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ গঠন করুন অর্থপূর্ণ সামাজিক ইন্টারঅ্যাকশন বৌদ্ধিক আলোচনা এবং শেখার জন্য সুযোগ প্রদান করে। আপনার কমিউনিটিতে যারা বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট আছেন তাদের সাথে মিশলে আপনার নিজের অনেক ডেভেলপমেন্ট হবে, প্রতিদিনই আপনি কিছু না কিছু তাদের কাছ থেকে শিখতে পারবেন। ভাল একটা সামাজিক বলয় যদি তৈরি করতে পারেন, নিজেকে খুব সহজেই স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। তাই স্মার্ট হওয়ার উপায় গুলোর মাঝে অন্যতম হলো স্ট্রং সোসিয়াল কানেকশন তৈরি করা।

Get Goals and Monitor Progress – লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং আপনার উন্নতি লক্ষ্য করুন। আপনার যদি ফিক্সড গোল না থাকে, যেমন- “আমি মানুষের সাথে মিশতে পারিনা, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমি নিজেকে এই অংশটুকুতে ডেভেলপ করব”; “আগামী তিন মাসের মধ্যে আমার কথা বলাটা আমি শুদ্ধ করার চেষ্টা করব”; “আগামী এক মাসের মধ্যে আমার পোশাক পরিচ্ছদের মাঝে মার্জিত একটা রূপ নিয়ে আসব। অথবা, আমি গেজেটে অভ্যস্ত না, আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট ডিভাইস গুলোর ব্যাপারে আমি সচেতন হব এদের সচেতন ব্যবহার সম্পর্কে আমি দক্ষ হব। আমরা যদি আমাদের এসব দক্ষতাকে নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে স্মার্টমানুষ হিসেবে নিজেদেরকে সহজেই উপস্থাপন করতে পারব। তাছাড়া যারা স্মার্ট মানুষ তাদের প্রত্যেকটা কাজের জন্যই একটা লক্ষ্য থাকে, একটা ভিশন থাকে, একটা সময় নির্ধারণ করা থাকে। স্মার্ট হওয়ার উপায় গুলোর মাঝে একটি অন্যতম বিষয় হলো সঠিক গোল বা লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী অগ্রগতি কতটুকু হলো তা নিজে নিজেই উপলব্ধি করার চেষ্টা করা।

Take Failure as a Learning Opportunity – ব্যর্থতাকে শিখার একটি সুযোগ হিসেবে নিন

নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন। ব্যর্থতাকে শেখার একটি সুযোগ হিসেবে নিন। আপনার আজকের ব্যর্থতাকে আপনি নিজের মাঝে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন এবং সে হিসেবে নিজের দক্ষতা, নিজের স্মার্টনেস, নিজের সময়ানুবর্তিতা, নিজের প্রচেষ্টাকে বৃদ্ধি করুন। তাহলে একদিন অবশ্যই সেই ফেইলুরটা আপনার কাছে একটি অপরচুনিটি হিসেবে আসবে। সুতরাং সবকিছু পজিটিভলি চিন্তা করে নিজেদেরকে সব বিষয়ে স্মার্ট হওয়ার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রাখতে হবে।

Practice Effective Time Management – সময়ানুবর্তী হোন

প্রত্যেকটা কাজে যারা সময়ানুবর্তী তারা অবশ্যই অন্যের সামনে স্মার্ট হিসেবেই উপস্থাপতি হন।সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা যদি আপনার না থাকে, তাহলে আপনার ক্যারিয়ার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঠিক তেমনি আপনি হীনমন্যতায় ভুগবেন এবং সার্বিকভাবে আপনি নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারবেন না।

Stay Informed About Current Events – সমসাময়িক ঘটনা সমূহের বিষয়ে নিজেকে আপটুডেট রাখুন

বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে নিজেকে সবসময় অবগত রাখুন। সমসাময়িক ঘটনা রাজনৈতিক বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে সবসময় হালনাগাদ রাখতে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও বর্তমান বিষয় সম্পর্কে ওয়াকি বহল থাকলে যে কোন আলাপচারিতায় আপনি নিজেকে চমৎকারভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন। বর্তমান বিষয়সমূহ সম্পর্কে আপটুডেট থাকতে হলে নিয়মিতভাবে আপনাকে সংবাদপত্র পড়তে হবে, নিউজ চ্যানেলগুলোতে চোখ বুলাতে হবে এবং বিভিন্ন আলাপচারিতাগুলো মনোযোগ সহকারে ফলো করতে হবে।

Foster a Positive Mindset – সব সময় একটি ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখুন

সব সময় কোন বিষয় সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করার চেষ্টা করবেন। এটি যেমন মনের সুস্থতার জন্য জরুরী তেমনি শরীরের সুস্থতায়ও এর বেশ প্রভাব রয়েছে। সবকিছু নিয়ে যদি হীনমন্যতায় ভুগেন তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারবেন না। যেকোনো নেগেটিভ বিষয় অথবা কোন কঠিন সময়ে আপনি যদি পজিটিভ মাইন্ড সেট ধরে রাখতে পারেন তাহলে সকল বিষয়গুলোই সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারবেন। এছাড়া স্মার্ট হওয়ার উপায় গুলোর মাঝে পজিটিভ মাইন্ড সেট করা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সবশেষে যেটি বলবো, পজিটিভ অ্যাটিচিউড, সময়ানুবর্তিতা, কাজের প্রতি আগ্রহ, শিখার জন্য প্রচেষ্টা, মেডিটেশন, এক্সারসাইজ, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সহ সার্বিক মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা নিজের মাঝে স্মার্ট এটিচিউড তৈরি করতে অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা যদি উপরের অভ্যাসগুলো সঠিকভাবে নিজেরা আত্মস্থ করে মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা নিজেদেরকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। চলুন স্মার্ট হওয়ার এই অভ্যাসগুলো আরা গড়ে তোলার চেষ্টা করি এবঙ ভাল থাকি।

FAQs

1. এই অভ্যাসগুলি সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য কি কাজ করতে পারে?
হ্যাঁ, এই অভ্যাসগুলি সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। আপনি যেকোনো বয়সেই এই অভ্যাসগুলো নিজের মাঝে গড়ে তুলতে পারেন।
2. এই অভ্যাসগুলির প্রভাব দেখতে কতটা তাড়াতাড়ি আশা করা যায়?
ফলাফল ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চেষ্টা করলে মধ্যে সপ্তাহ থেকে মাসের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
3. এই অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণরূপে নিজেদের মাঝে গড়ে তোলা সম্ভব?
ধীরে ধীরে অভ্যাস গুলোকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করলে এবং প্রাত্যহিক জীবনে চর্চা করলে সহজেই এই অভ্যাসগুলো আপনি নিজেদের মাঝে গড়ে তুলতে পারবেন।
4. এই অভ্যাসগুলি বুদ্ধিমত্তাকে প্রভাবিত করে?
জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা একে অপরকে প্রভাবিত করে। আপনার অভ্যাস এবং জীবনধারাও আপনার বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন-

Exploring Bangladesh Postal Codes: A Comprehensive Guide

মাথাব্যথা: কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা – Causes, Symptoms and Treatment of Headache

Top 5 Knee Braces for Arthritis: Find the Best one to Comfort and Relief Knee Pain

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম | The Best rules of eating chia seeds to lose weight। 2023

Leave a Comment